এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান – এটা হওয়া উচিত ছিল শিক্ষার্থীদের জীবনের একটি স্মরণীয়, সম্মানজনক এবং আবেগঘন মুহূর্ত। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই বিদায় অনুষ্ঠানই রূপ নিচ্ছে অশ্লীলতা ও বেহায়াপনার প্রদর্শনীতে—যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘Rag Day’।
সাধারণত এই দিনে শিক্ষার্থীরা স্কুল ড্রেসের বাইরে গিয়ে নানাভাবে সাজসজ্জা করে, রঙ ছিটিয়ে উদযাপন করে। কিন্তু এখন অনেক জায়গায় দেখা যাচ্ছে, ‘Rag Day’ পালনের নামে চলছে নাচ-গান, উচ্চ শব্দে ডিজে পার্টি, আপত্তিকর পোশাক, অশ্লীল ভাষা ও অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ।
অনেক প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে। কোথাও কোথাও শিক্ষক-প্রশাসনের সামনে প্রকাশ্যেই চলেছে এসব উদ্দামতা—কেউ কেউ আবার এটিকে “বিকাশমান সংস্কৃতি” বলে আখ্যা দিয়ে প্রশ্রয় দিচ্ছেন।
অন্যদিকে অভিভাবক ও সমাজসচেতন নাগরিকরা এই প্রবণতা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের প্রশ্ন—
বিশেষজ্ঞদের মতে, সংস্কৃতির নামে যা কিছু হচ্ছে, তা যদি মূল্যবোধ ও শালীনতার সীমা লঙ্ঘন করে, তাহলে সেটা সংস্কৃতি নয়, সংস্কৃতির অবক্ষয়।
• শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘Rag Day’ পালনের জন্য গাইডলাইন দিতে হবে।
• শালীনতা বজায় রেখে আনন্দ উদযাপনের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।
• অভিভাবকদের আরও সচেতন হতে হবে সন্তানের আচার-আচরণ নিয়ে।
• প্রয়োজনে প্রশাসন ও স্থানীয় কমিউনিটির হস্তক্ষেপ দরকার।
শেষ কথা:
বিদায় মানে শোক নয়, উদযাপন – কিন্তু সেটা যদি আত্মমর্যাদা, নৈতিকতা ও সমাজের শালীনতা বিসর্জনের কারণ হয়, তাহলে প্রশ্ন উঠবে—আমরা আসলে শিক্ষার্থীদের কী শিক্ষা দিচ্ছি?
“Rag Day নয়, Respect Day হোক আমাদের বিদায় অনুষ্ঠান।”
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২৩ জুন ২০২৫
এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান – এটা হওয়া উচিত ছিল শিক্ষার্থীদের জীবনের একটি স্মরণীয়, সম্মানজনক এবং আবেগঘন মুহূর্ত। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই বিদায় অনুষ্ঠানই রূপ নিচ্ছে অশ্লীলতা ও বেহায়াপনার প্রদর্শনীতে—যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘Rag Day’।
সাধারণত এই দিনে শিক্ষার্থীরা স্কুল ড্রেসের বাইরে গিয়ে নানাভাবে সাজসজ্জা করে, রঙ ছিটিয়ে উদযাপন করে। কিন্তু এখন অনেক জায়গায় দেখা যাচ্ছে, ‘Rag Day’ পালনের নামে চলছে নাচ-গান, উচ্চ শব্দে ডিজে পার্টি, আপত্তিকর পোশাক, অশ্লীল ভাষা ও অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ।
অনেক প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে। কোথাও কোথাও শিক্ষক-প্রশাসনের সামনে প্রকাশ্যেই চলেছে এসব উদ্দামতা—কেউ কেউ আবার এটিকে “বিকাশমান সংস্কৃতি” বলে আখ্যা দিয়ে প্রশ্রয় দিচ্ছেন।
অন্যদিকে অভিভাবক ও সমাজসচেতন নাগরিকরা এই প্রবণতা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের প্রশ্ন—
বিশেষজ্ঞদের মতে, সংস্কৃতির নামে যা কিছু হচ্ছে, তা যদি মূল্যবোধ ও শালীনতার সীমা লঙ্ঘন করে, তাহলে সেটা সংস্কৃতি নয়, সংস্কৃতির অবক্ষয়।
• শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘Rag Day’ পালনের জন্য গাইডলাইন দিতে হবে।
• শালীনতা বজায় রেখে আনন্দ উদযাপনের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।
• অভিভাবকদের আরও সচেতন হতে হবে সন্তানের আচার-আচরণ নিয়ে।
• প্রয়োজনে প্রশাসন ও স্থানীয় কমিউনিটির হস্তক্ষেপ দরকার।
শেষ কথা:
বিদায় মানে শোক নয়, উদযাপন – কিন্তু সেটা যদি আত্মমর্যাদা, নৈতিকতা ও সমাজের শালীনতা বিসর্জনের কারণ হয়, তাহলে প্রশ্ন উঠবে—আমরা আসলে শিক্ষার্থীদের কী শিক্ষা দিচ্ছি?
“Rag Day নয়, Respect Day হোক আমাদের বিদায় অনুষ্ঠান।”
আপনার মতামত লিখুন