
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পিকআপ ভর্তি হাঁস ডাকাতির ঘটনায় দুই দিন পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে এক হাজার ৪২০টি হাঁস উদ্ধার করেছে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় রুবেল মিয়া, আপন মিয়া ও বাপ্পী মিয়াকে। বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে তাদের কিশোরগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর তথ্য অনুযায়ী, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান মিয়া দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাঁস কিনে পিকআপে করে সরবরাহ করে থাকেন। ২৮ জুন রাতে তিনি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার নরখানার শিবপুর এলাকার রোকন মিয়ার খামার থেকে এক হাজার ৪৩৫টি পাতি হাঁস সংগ্রহ করেন। হাঁসগুলো একটি পিকআপে তুলে ফেনীর পরশুরামে সরবরাহের জন্য রওনা হন চালক ও হেলপারসহ।
কিন্তু ২৯ জুন রাত ৩টার দিকে ভৈরবের লক্ষ্মীপুর কাশবন রেস্টুরেন্ট সংলগ্ন সড়কে একটি প্রাইভেটকার পিকআপের সামনে আড়াআড়ি করে দিয়ে গতি রোধ করে। এরপর ৫-৬ জন মুখোশধারী ডাকাত চাপাতি, রামদা ও ছুরি নিয়ে পিকআপে হামলা চালায় এবং চালক ও হেলপারকে বেধড়ক মারধর করে।
ডাকাতির ঘটনায় আব্দুল হান্নান মিয়া ভৈরব থানায় মামলা দায়ের করলে তদন্তে নামে পুলিশ।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানি বলেন—
“তদন্তে নেমে বাজিতপুরে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয় এবং লুট হওয়া হাঁসগুলোর মধ্যে ১,৪২০টি হাঁস উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।”
তবে পিকআপ গাড়িটি, চালক ও হেলপারের স্মার্টফোন এবং নগদ অর্থ এখনো উদ্ধার হয়নি।
ভুক্তভোগী আব্দুল হান্নান বলেন—
“আমি হাঁস ব্যবসা করি। এত বড় লুটে ব্যবসায় ধস নেমেছিল। থানায় মামলা করার দুদিন পর পুলিশ হাঁস উদ্ধার করায় কিছুটা স্বস্তি পেলেও গাড়ি, মোবাইল আর টাকাগুলো এখনো পাওয়া যায়নি।”
ডাকাতি তারিখ: ২৯ জুন রাত ৩টা
জায়গা: ভৈরব, লক্ষ্মীপুর কাশবন রেস্টুরেন্ট সংলগ্ন সড়ক
হাঁস লুট: ১,৪৩৫টি
উদ্ধার: ১,৪২০টি হাঁস
গ্রেফতার: ৩ জন (রুবেল, আপন, বাপ্পী)
পিকআপ, মোবাইল, নগদ টাকা: এখনো উদ্ধার হয়নি
এই ঘটনা শুধু এক হাঁস ব্যবসায়ীর দুর্ভোগ নয়—এটা স্পষ্ট করে যে দেশের সড়কপথে পণ্য পরিবহন কতটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ডাকাতচক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং পুরো মালামাল উদ্ধারের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী ও হাঁস ব্যবসায়ী মহল।
শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৩ জুলাই ২০২৫
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পিকআপ ভর্তি হাঁস ডাকাতির ঘটনায় দুই দিন পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে এক হাজার ৪২০টি হাঁস উদ্ধার করেছে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় রুবেল মিয়া, আপন মিয়া ও বাপ্পী মিয়াকে। বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে তাদের কিশোরগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর তথ্য অনুযায়ী, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান মিয়া দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাঁস কিনে পিকআপে করে সরবরাহ করে থাকেন। ২৮ জুন রাতে তিনি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার নরখানার শিবপুর এলাকার রোকন মিয়ার খামার থেকে এক হাজার ৪৩৫টি পাতি হাঁস সংগ্রহ করেন। হাঁসগুলো একটি পিকআপে তুলে ফেনীর পরশুরামে সরবরাহের জন্য রওনা হন চালক ও হেলপারসহ।
কিন্তু ২৯ জুন রাত ৩টার দিকে ভৈরবের লক্ষ্মীপুর কাশবন রেস্টুরেন্ট সংলগ্ন সড়কে একটি প্রাইভেটকার পিকআপের সামনে আড়াআড়ি করে দিয়ে গতি রোধ করে। এরপর ৫-৬ জন মুখোশধারী ডাকাত চাপাতি, রামদা ও ছুরি নিয়ে পিকআপে হামলা চালায় এবং চালক ও হেলপারকে বেধড়ক মারধর করে।
ডাকাতির ঘটনায় আব্দুল হান্নান মিয়া ভৈরব থানায় মামলা দায়ের করলে তদন্তে নামে পুলিশ।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানি বলেন—
“তদন্তে নেমে বাজিতপুরে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয় এবং লুট হওয়া হাঁসগুলোর মধ্যে ১,৪২০টি হাঁস উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।”
তবে পিকআপ গাড়িটি, চালক ও হেলপারের স্মার্টফোন এবং নগদ অর্থ এখনো উদ্ধার হয়নি।
ভুক্তভোগী আব্দুল হান্নান বলেন—
“আমি হাঁস ব্যবসা করি। এত বড় লুটে ব্যবসায় ধস নেমেছিল। থানায় মামলা করার দুদিন পর পুলিশ হাঁস উদ্ধার করায় কিছুটা স্বস্তি পেলেও গাড়ি, মোবাইল আর টাকাগুলো এখনো পাওয়া যায়নি।”
ডাকাতি তারিখ: ২৯ জুন রাত ৩টা
জায়গা: ভৈরব, লক্ষ্মীপুর কাশবন রেস্টুরেন্ট সংলগ্ন সড়ক
হাঁস লুট: ১,৪৩৫টি
উদ্ধার: ১,৪২০টি হাঁস
গ্রেফতার: ৩ জন (রুবেল, আপন, বাপ্পী)
পিকআপ, মোবাইল, নগদ টাকা: এখনো উদ্ধার হয়নি
এই ঘটনা শুধু এক হাঁস ব্যবসায়ীর দুর্ভোগ নয়—এটা স্পষ্ট করে যে দেশের সড়কপথে পণ্য পরিবহন কতটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ডাকাতচক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং পুরো মালামাল উদ্ধারের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী ও হাঁস ব্যবসায়ী মহল।
আপনার মতামত লিখুন