
২৫ বছরেও হয়নি গাজিরচর ও দিলালপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের কমিটি, হতাশ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার গাজিরচর ও দিলালপুর ইউনিয়নে টানা ২৫ বছর ধরে ছাত্রদলের কোনো কমিটি গঠিত হয়নি। দীর্ঘ এই সময় ধরে সংগঠনের কার্যক্রমে স্থবিরতা বিরাজ করছে, যার ফলে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম হতাশা ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
১৯৯৪ সালে সর্বশেষ গঠিত হয়েছিল গাজিরচর ইউনিয়ন ছাত্রদলের কমিটি। সে সময় সভাপতি ছিলেন জামাল মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ইবাদুর রহমান আনার। ২০০১ সালে কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হয়ে এমপি হন মুজিবুর রহমান মঞ্জু। ওই সময় ইবাদুর রহমান আনারকে ছাত্রদল থেকে পদোন্নতি দিয়ে গাজিরচর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এরপর থেকেই গাজিরচর ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতৃত্বে শূন্যতা দেখা দেয়। দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে এই ইউনিয়নের ছাত্রদলের কোনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। একই চিত্র দিলালপুর ইউনিয়নেও। ২০০১ সালে মো. জাকির হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত আহ্বায়ক কমিটিই ছিল সর্বশেষ। এরপর থেকে ওই ইউনিয়নেও ছাত্রদলের আর কোনো কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
স্থানীয় ছাত্রদল নেতাদের দাবি, দীর্ঘদিন কমিটি না থাকায় সংগঠনের কার্যক্রমে স্থবিরতা তৈরি হয়েছে। নতুন নেতৃত্ব না আসায় তরুণদের মধ্যে উৎসাহ কমে গেছে, পাশাপাশি সংগঠনের সাংগঠনিক শক্তিও দুর্বল হয়ে পড়েছে।
তারা আরও বলেন, ছাত্রদল হচ্ছে বিএনপির প্রাণ, কিন্তু এই তৃণমূল পর্যায়ে বছরের পর বছর ধরে কোনো কমিটি না থাকাটা ভবিষ্যতের জন্য অশনি সংকেত। যোগ্য, কর্মঠ ও শিক্ষিত ছাত্রদের নেতৃত্বে আনার মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে সংগঠনকে পুনরুজ্জীবিত করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে জেলা বা উপজেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সংগঠনের অভ্যন্তরীণ জটিলতা ও কেন্দ্রীয় নজরদারির অভাবেই এ ধরনের দীর্ঘমেয়াদি স্থবিরতা তৈরি হয়েছে।
তৃণমূলের নেতারা আশাবাদী, নতুন করে দল পুনর্গঠনের যে উদ্যোগ কেন্দ্রীয়ভাবে নেওয়া হচ্ছে, তাতে এবার ইউনিয়ন পর্যায়েও নতুন কমিটি গঠনের দিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তারা একটি সক্রিয় ও যুগোপযোগী নেতৃত্ব দেখতে চান।
রোববার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২২ জুলাই ২০২৫
২৫ বছরেও হয়নি গাজিরচর ও দিলালপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের কমিটি, হতাশ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার গাজিরচর ও দিলালপুর ইউনিয়নে টানা ২৫ বছর ধরে ছাত্রদলের কোনো কমিটি গঠিত হয়নি। দীর্ঘ এই সময় ধরে সংগঠনের কার্যক্রমে স্থবিরতা বিরাজ করছে, যার ফলে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম হতাশা ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
১৯৯৪ সালে সর্বশেষ গঠিত হয়েছিল গাজিরচর ইউনিয়ন ছাত্রদলের কমিটি। সে সময় সভাপতি ছিলেন জামাল মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ইবাদুর রহমান আনার। ২০০১ সালে কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হয়ে এমপি হন মুজিবুর রহমান মঞ্জু। ওই সময় ইবাদুর রহমান আনারকে ছাত্রদল থেকে পদোন্নতি দিয়ে গাজিরচর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এরপর থেকেই গাজিরচর ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতৃত্বে শূন্যতা দেখা দেয়। দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে এই ইউনিয়নের ছাত্রদলের কোনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। একই চিত্র দিলালপুর ইউনিয়নেও। ২০০১ সালে মো. জাকির হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত আহ্বায়ক কমিটিই ছিল সর্বশেষ। এরপর থেকে ওই ইউনিয়নেও ছাত্রদলের আর কোনো কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
স্থানীয় ছাত্রদল নেতাদের দাবি, দীর্ঘদিন কমিটি না থাকায় সংগঠনের কার্যক্রমে স্থবিরতা তৈরি হয়েছে। নতুন নেতৃত্ব না আসায় তরুণদের মধ্যে উৎসাহ কমে গেছে, পাশাপাশি সংগঠনের সাংগঠনিক শক্তিও দুর্বল হয়ে পড়েছে।
তারা আরও বলেন, ছাত্রদল হচ্ছে বিএনপির প্রাণ, কিন্তু এই তৃণমূল পর্যায়ে বছরের পর বছর ধরে কোনো কমিটি না থাকাটা ভবিষ্যতের জন্য অশনি সংকেত। যোগ্য, কর্মঠ ও শিক্ষিত ছাত্রদের নেতৃত্বে আনার মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে সংগঠনকে পুনরুজ্জীবিত করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে জেলা বা উপজেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সংগঠনের অভ্যন্তরীণ জটিলতা ও কেন্দ্রীয় নজরদারির অভাবেই এ ধরনের দীর্ঘমেয়াদি স্থবিরতা তৈরি হয়েছে।
তৃণমূলের নেতারা আশাবাদী, নতুন করে দল পুনর্গঠনের যে উদ্যোগ কেন্দ্রীয়ভাবে নেওয়া হচ্ছে, তাতে এবার ইউনিয়ন পর্যায়েও নতুন কমিটি গঠনের দিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তারা একটি সক্রিয় ও যুগোপযোগী নেতৃত্ব দেখতে চান।
আপনার মতামত লিখুন