
আজ ২৫ জুলাই, শুক্রবার, জুমার নামাজ শেষে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায় কিশোরগঞ্জ তাওহিদি ছাত্র-জনতা-র ব্যানারে এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি আফতাব উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে অংশ নেয় শত শত ধর্মপ্রাণ ছাত্র, যুবক ও সাধারণ মানুষ।
বিক্ষোভে মূলত দুইটি বিষয়কে কেন্দ্র করে জনসাধারণের ক্ষোভ ও প্রতিবাদ প্রকাশ পায়—
একটি হলো বাংলাদেশে ইসলামপন্থী নাগরিক ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে কথিত ভিত্তিহীন ‘জঙ্গি’ মামলার প্রতিবাদ, আর অন্যটি জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা প্রতিষ্ঠার পাঁয়তারা এবং তাদের 'জঙ্গি কার্ড' ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা।
১. ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী ধর্মপ্রাণ নাগরিকদের জঙ্গি পরিচয়ে কলঙ্কিত করার রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।
২. জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা দেশে বসিয়ে ইসলামপন্থী ও দেশপ্রেমিকদের দমন করার আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে।
৩. গাজায় রক্ত ঝরার সময় জাতিসংঘ ও পশ্চিমা মিডিয়ার নীরবতা ও পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থান আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মুখোশ উন্মোচন করেছে।
এসব স্লোগান ছিল স্পষ্টভাবে একটি নীতিগত অবস্থান—ধর্ম ও জাতীয়তা একসূত্রে গাঁথা এবং ইসলামপন্থী জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠার এক সাহসী উচ্চারণ।
“যারা ইসলাম ভালোবাসে, তারা যদি বারবার ‘জঙ্গি’ বলে চিহ্নিত হয়, তাহলে এ রাষ্ট্রে ধর্মীয় স্বাধীনতা বলে কিছুই থাকবে না। আমরা শান্তিপূর্ণ ধর্মীয় চর্চা চাই, ষড়যন্ত্র নয়।”
“জাতিসংঘ গাজায় রক্ত দেখতে পায় না, কিন্তু বাংলাদেশের মাদরাসা ছাত্রের টুপি দেখলেই মানবাধিকার খুঁজে বেড়ায়।”
বিক্ষোভ শেষে একটি স্মারকলিপি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেখানে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে যেন কোনো বাধা সৃষ্টি না হয়, সে ব্যাপারে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।
তারা স্পষ্ট করেন যে, এই বিক্ষোভ কোনো রাজনৈতিক দলের ছায়ায় নয়। এটি একটি আন্তরিক ও স্বতঃস্ফূর্ত ধর্মীয় প্রতিবাদ। দেশের ধর্মপ্রাণ জনতার পক্ষ থেকে ইসলামের সম্মান রক্ষায় মাঠে নামাই ছিল এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য।
আজকের এই বিক্ষোভ বাজিতপুরে একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে—ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে ‘জঙ্গি’ নাটক আর চলে না। জাতিসংঘ হোক বা দেশের মিডিয়া, পক্ষপাতদুষ্ট ন্যারেটিভের বিরুদ্ধে ইসলামপন্থী ছাত্র ও জনতা এখন আর চুপ করে থাকবে না। তারা চায় সংবিধানসম্মতভাবে ধর্মীয় অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা—সম্মান নিয়ে বাঁচার নিশ্চয়তা।
এই প্রতিবাদ কেবল মিছিল নয়—এটি ছিল এক নৈতিক জাগরণ, এক বিবেকের উচ্চারণ।
রোববার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২৫ জুলাই ২০২৫
আজ ২৫ জুলাই, শুক্রবার, জুমার নামাজ শেষে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায় কিশোরগঞ্জ তাওহিদি ছাত্র-জনতা-র ব্যানারে এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি আফতাব উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে অংশ নেয় শত শত ধর্মপ্রাণ ছাত্র, যুবক ও সাধারণ মানুষ।
বিক্ষোভে মূলত দুইটি বিষয়কে কেন্দ্র করে জনসাধারণের ক্ষোভ ও প্রতিবাদ প্রকাশ পায়—
একটি হলো বাংলাদেশে ইসলামপন্থী নাগরিক ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে কথিত ভিত্তিহীন ‘জঙ্গি’ মামলার প্রতিবাদ, আর অন্যটি জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা প্রতিষ্ঠার পাঁয়তারা এবং তাদের 'জঙ্গি কার্ড' ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা।
১. ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী ধর্মপ্রাণ নাগরিকদের জঙ্গি পরিচয়ে কলঙ্কিত করার রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।
২. জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা দেশে বসিয়ে ইসলামপন্থী ও দেশপ্রেমিকদের দমন করার আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে।
৩. গাজায় রক্ত ঝরার সময় জাতিসংঘ ও পশ্চিমা মিডিয়ার নীরবতা ও পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থান আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মুখোশ উন্মোচন করেছে।
এসব স্লোগান ছিল স্পষ্টভাবে একটি নীতিগত অবস্থান—ধর্ম ও জাতীয়তা একসূত্রে গাঁথা এবং ইসলামপন্থী জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠার এক সাহসী উচ্চারণ।
“যারা ইসলাম ভালোবাসে, তারা যদি বারবার ‘জঙ্গি’ বলে চিহ্নিত হয়, তাহলে এ রাষ্ট্রে ধর্মীয় স্বাধীনতা বলে কিছুই থাকবে না। আমরা শান্তিপূর্ণ ধর্মীয় চর্চা চাই, ষড়যন্ত্র নয়।”
“জাতিসংঘ গাজায় রক্ত দেখতে পায় না, কিন্তু বাংলাদেশের মাদরাসা ছাত্রের টুপি দেখলেই মানবাধিকার খুঁজে বেড়ায়।”
বিক্ষোভ শেষে একটি স্মারকলিপি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেখানে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে যেন কোনো বাধা সৃষ্টি না হয়, সে ব্যাপারে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।
তারা স্পষ্ট করেন যে, এই বিক্ষোভ কোনো রাজনৈতিক দলের ছায়ায় নয়। এটি একটি আন্তরিক ও স্বতঃস্ফূর্ত ধর্মীয় প্রতিবাদ। দেশের ধর্মপ্রাণ জনতার পক্ষ থেকে ইসলামের সম্মান রক্ষায় মাঠে নামাই ছিল এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য।
আজকের এই বিক্ষোভ বাজিতপুরে একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে—ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে ‘জঙ্গি’ নাটক আর চলে না। জাতিসংঘ হোক বা দেশের মিডিয়া, পক্ষপাতদুষ্ট ন্যারেটিভের বিরুদ্ধে ইসলামপন্থী ছাত্র ও জনতা এখন আর চুপ করে থাকবে না। তারা চায় সংবিধানসম্মতভাবে ধর্মীয় অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা—সম্মান নিয়ে বাঁচার নিশ্চয়তা।
এই প্রতিবাদ কেবল মিছিল নয়—এটি ছিল এক নৈতিক জাগরণ, এক বিবেকের উচ্চারণ।
আপনার মতামত লিখুন